ধাঁধা মানেই বুদ্ধির খেলা। অনেকেই বাংলা ধাঁধা অনেক পছন্দ করে। প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য মজার সব ধাঁধা।
গুগলি ধাঁধা উত্তর সহ
১. হাত আছে পা নেই বুক তার ফাটা, জ্যান্ত মানুষ গিলে খায় নেই তার মাথা।
উত্তর : জামা।
২. বর্ষাকালে তিন অক্ষরে আয়েশ করে খায়, কাটলে মাথা সুন্দরীদের হাতে উঠে যায়।
উত্তর : খিচুড়ি।
৩. কাল আমাকে মেরে ছিলে সয়ে ছিলাম আমি, আজ আমায় মারো দেখি কেমন বেটা তুমি।
উত্তর : মাটির হাড়ি।
৪. রাজার বেটা রাম দাস, খায় খোলা তার ফেলায় শাঁস।
উত্তর : চালতা।
৫. এক থালা সুপারী গুণতে পারে কোন ব্যাপারী?
উত্তর : আকাশের তারা।
৬. বন থেকে বেরোলো টিয়ে, সোনার টোপর মাথায় দিয়া।
উত্তর : আনারস।
৭. লাল টুকটুক ছোটমামা, গায়ে পড়ে অনেক জামা।
উত্তর : পেঁয়াজ।
৮. হেতা দিলাম থান হয়ে গেল লতা, ফুল নাই ফল নাই সবই তার পাতা।
উত্তর : পান।
৯. সাগরে জন্ম তার আকাশে উড়ে, পর্বতের কাছে মার খেয়ে কেঁদে কেঁদে মড়ে।
উত্তর : কুয়াশা।
১০. তলে মাটি উপরে মাটি, তার মধ্যে সুন্দর বেটি।
উত্তর : হলুদ।
১১. সকাল থেকে সন্ধ্যা একা একা ঘোরে, খবর তার কেউ নেয় না সবাই চায় তারে।
উত্তর : সূর্য।
১২. জ্বলছে তবু পুড়ছে না, কোন সে প্রাণী বলো তা।
উত্তর : জোনাকী।
১৩. আাঁধার পুকুর, গড়ান মাঠ, বত্রিশ কলাগাছ, একখানি পাট।
উত্তর : দাঁত ও জিহ্বা।
১৪. ছোট কালে লেজ হয়, বড় কালে খসে, বাঘের মত লাফ দেয়, কুকেুরের মত বসে।
উত্তর : ব্যাঙ।
১৫. চার পায়ে বসে, আট পায়ে চলে রাক্ষস নয়, খোক্ষস নয় আস্ত মানুষ গিলে।
উত্তর : পালকি।
১৬. বিনা দুধে হইছে দই, এমন কুমার পাব কই।
উত্তর : চুন।
১৭. কোন ফলের বীজ নাই বল দেখি দাদা, বলতে যদি না পারো তো বুঝবো তুমি হাঁদা।
উত্তরঃ নারিকেল।
১৮. চক থেকে এলো সাহেব কোট-প্যান্ট পরে, কোট-প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।
উত্তর : পেঁয়াজ।
১৯. তিন অক্ষরে নাম যার সবার ঘরে রয়, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে সর্ব লোকে খায়। পেট তার কেটে দিলে মধুর গান গায়, শেষ অক্ষর বাদ দিলে খুব কামরায়।
উত্তর : বিছানা।
২০. দু’অক্ষরে নাম তার বহু লোকে খায়, শেষের অক্ষর বাদ দিলে হেঁটে চলে যায়।
উত্তর : পান।
২১. তেল চুকচুক পাতা, ফলের ওপর কাঁটা, পাকলে হয় মধুর মতো, বিচি গোটা গোটা।
উত্তর : কাঁঠাল।
২২. উঠান ঠন ঠন, বাড়িতে নাই, খাই বস্তুর বাকল নাই।
উত্তরঃ লবণ।
২৩. কোন সে গাছের নাম বল তুমি শুনি, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে বলে কথা গণি, মাঝের অক্ষর বাদ দিলে ব্যবহার করে নারী।
উত্তর : বাবলা।
২৪. মার্জনা করি আমি যত মলিনতা, একশটি ভাই মিলে বোঝায় একতা। নারীর হাত থাকি আমি এত সম্মান, তবুও শ্রদ্ধাহীন, কী আমার নাম?
উত্তর : ঝাঁটা।
২৫. দিতে যদি দিতে হয় শ্বশুরকুলে দিই, আর যদি দিতে হয় পরপুরুষে দিই, বাপের ঘরে দেব কারে, লজ্জা করে ছিঃ তুমি আমার আমি তোমার তোমায় দেব কি?
উত্তর : ঘোমটা।
২৬. এখান থেকে দিলাম বৃষ্টি, ঐ গাছটি বড়ই মিষ্টি।
উত্তর : আখ গাছ।
২৭. দু’অক্ষরে নাম লজ্জা নিবারণী, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে হয় আমার জননী, শেষের অক্ষর বাদ দিলে ভাশুর ঘরণী।
উত্তর : জামা।
২৮. এরা বাপ বেটা ওরা বাপ বেটা আমতলা দিয়ে যায়, তিন খানা পাকা আম পেড়ে নিয়ে সমান ভাগেতে খায়।
উত্তর : বাপ-ছেলে-নাপিত।
২৯. চার রূপসী চার রং, মিলন হলে এক রং।
উত্তর : পান-চুন-খয়ের-সুপারী।
৩০. অষ্ট চরণ ষোল হাঁটু, মাছ ধরতে যায় লাটু, শুকনো ডাঙায় পেতে জাল, শিকার ধরে চিরকাল।
উত্তর : মাকড়সা।
৩১. টুক-টুক দু’চার বাড়ি, খানিকক্ষন লছর-পছর, হয়ে গেল যখন ধূয়ে দিল তখন।
উত্তর : কাপড় পরিস্কার করা
৩২. তিন অক্ষরে নাম আমার সুগন্ধি এক সাথী, মাঝের অক্ষর কাটো যদি বাইশ পায়ে খাই লাথি। কিন্তু যদি কাটো মাথা উঠব আবার গাছে, মন্দ তুমি যতই বলো তা পেটে ভরা আছে।
উত্তর : বকুল।
৩৩. কাগজেতে বসে আছে নদী আছে জল নেই, বন আছে পশু ছাড়া দেশ আছে লোক নেই।
উত্তর : মানচিত্র।
৩৪. একটি পরিবারে মা-বাবা ও তাদর ৭জন ছেলে আছে॥ প্রত্যেক ছেলের একটি করে বোন আছে। ওই পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যা কত??
উত্তর : ১০ জন।
৩৫. একই মায়ের সন্তান মোরা আমি তাকে ভাই বলি, সে আমায় বলে না ভাই বলুনতো কি সম্পর্ক তাই।
উত্তর : ভাইবোন।
৩৬. ওপার থেকে এলো বুড়ি সাদা কাপড় পরে মহানন্দে বসল খেতে ঘাড় নেড়ে নেড়ে।
উত্তর : বক।
৩৭. মেটো গোয়াল, কাঠের গাই বাঁছুর ছাড়াই দুধ পাই।
উত্তর : খেঁজুর গাছ।
৩৮. হাত পা তার ইটের সমান অতি পুরু ছাল, পেটে দিলে তাকে বাড়ে অনেক মান।
উত্তর : গম গাছ।
৩৯. কম দিলে যায় না খাওয়া বেশি দিলে বিষ, মা বলেছে, ”বুঝে শুনে তার পরেতে দিস।”
উত্তর : লবণ।
৪০. সারা মাথায় পক্ক কেশ, মাথার ঘিলু খেতে বেশ।
উত্তর : তালের আঁটি।
৪১. কৃষ্ণবর্ণ তণুখান গুটি ছয় পা, চুপচাপ রক্ত খায় নাহি কাটে রা।
উত্তর : উকুন।
৪২. থাল ঝনঝন, থাল ঝনঝন থাল নিল চোরে, বৃন্দাবনে লাগলো আগুন কে নিভাইতে পারে।
উত্তর : রোদ।
৪৩. প্রাণ নেই বন্ধু নয়, চলে সাথে সাথে। আলো পেলে তবে চলে দিনে কিংবা রাতে।
উত্তর : ছায়া।
৪৪. দুই অক্ষরের নাম যার সব যায়গায় রয়, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খাবার জিনিস হয়, শেষের অক্ষর বাদ দিলে আপনজন হয়।
উত্তর : মাটি।
৪৫. তিন অক্ষরে নাম তার মেয়েরা গায়ে মাখে, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে গাছ বেয়ে উঠে। মাঝের অক্ষর বাদ দিলে গাছে ফলে থাকে, শেষের অক্ষর বাদ দিলে হাঁটার পথ থাকে।
উত্তর : আলতা।
৪৬. এমন একটি ফুল যে হয়, উল্টা-পাল্টা যা-ই করি একই নাম হয়।
উত্তর : লিলি ফুল।
৪৭. হাত নেই পা নেই মুরো লেজ আছে, যেখানে সেখানে ছোটে জলে মাঠে গাছে।
উত্তর : সাপ।
৪৮. শীত কালে যার নেইকো মান, গ্রীষ্ম কালে পায় সু-সম্মান।
উত্তর : পাখা।
-------------------------------------
আজকে এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
আপনার একটি মন্তব্য একজন ব্লগারকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা ও মনোবল যোগাতে সাহায্য করে তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর আশা করি নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না ।