ধাঁধা মানেই বুদ্ধির খেলা। অনেকেই বাংলা ধাঁধা অনেক পছন্দ করে। প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য মজার সব ধাঁধা।
গুগলি ধাঁধা উত্তর সহ
১. জল নয়, বৃষ্টিও নয় কিন্তু ভিজে সারা, বাড়িঘর ডুবল, ডুবল পাহাড়েরও চূড়া।
উত্তর : কুয়াশা।
২. সফেদ শয্যা পড়ে আছে কেউ তাতে না শোয়, ভিতর থেকে খোলাম কুচি আঙিনাতে থোয়।
উত্তর : সমুদ্র।
৩. ইটে গুরুগুরু বৈঠা নাগর, বিনা বৈঠায় বায় সে সাগর।
উত্তর : কচ্ছপ।
৪. একটুখানি পুষ্পরিণী টলমল করে, একটুখানি কুটা পাড়লে সর্বনাশ করে।
উত্তর : চোখ।
৫. ছোট ছোট গাছখানি তার কত ফল ধরে, একটা যদি খায় তবে আহা-উহু করে।
উত্তর : বোম্বাই মরিচ।
৬. একটুখানি জলে মাছ কিলবিল করে, কারো বাবার সাধ্য নাই হাত দিয়ে তা ধরে।
উত্তর : ফুটন্ত ভাত।
৭. দেয়াল আছে ছাদও আছে এমন এক ঘর, ভিতর তার প্রবেশ করার একটাও নেই দ্বার।
উত্তর : মশারি।
৮. আমার মা যখন যায় তোমার মার পাশে, দুই মা হারিয়ে যায় নানার পুত্র হয় শেষে।
উত্তর : মামা।
৯. লেজ, মাথা, পাখা আছে পাখি তবুও নয়, ডানা তার মেলে দিয়ে উড়ে চলে যায়।
উত্তর : উড়োজাহাজ।
১০. এই ঘরে যাই, ওই ঘরে যাই, দুমদুমি এ আছাড় খাই।
উত্তর : ঝাড়ু।
১১. তিন অক্ষরে নাম চোরের বুক কাঁপে, শেষ দুটি ছেড়ে দিলে কাটে এক কোপে। কিন্তু যদি প্রথম ছাড়ো দেখে লাগে দুঃখ, মাংস কম, শীর্ণকায়, চেহারাটি সূক্ষ্ম।
উত্তর : দারোগা।
১২. গা করে তার খসর-মসর, পাত করে তার ফেনী; ফুল করে তার লাল-তামাসা, ফল করে কুস্তনি।
উত্তর : শিমূল।
১৩. কাঁচাতে যেই ফল সর্বজনে খায়, পাঁকলে সেই ফল গড়াগড়ি যায়।
উত্তর : ডুমুর।
১৪. যমজ ভাই যায় আসে, একবার গিয়ে না ফিরলে ধরেতে না প্রাণ থাকে।
উত্তর : শ্বাস-প্রশ্বাস।
১৫. এই পাড়ে খাগড়া ওই পাড়ে খাগড়া, কখনও মিলেমিশে কখনও বা ঝগড়া..
উত্তর : চোখের পাতা।
১৬. লাঠির মত গাছে, সোনার ফল নাচে।
উত্তর : ভুট্টা গাছ।
১৭. কাঁচায় তুলতুলে পাকায় সিঁদূর, যে না বলতে পারে সে ধেড়ে ইঁদুর।
উত্তর : মাটির হাঁড়ি।
১৮. জন্ম দিয়ে মা কাহার ফেলিয়া পালালো, পাড়া প্রতিবেশী বুঝি তাহারে পালিলো।
উত্তর : কোকিল।
১৯. মন দিয়ে শোনো সবে কালিদাসের ছন্দ, হাজার দুয়ারী ঘরে স্বামী স্ত্রীতে বন্ধ।
উত্তর : মশারি
২০. হাত দিলে বন্ধ করে সূর্যদোয়ে খোলে, ঘোমটা দেওয়া স্বভাব তার মুখ নাহি তোলে।
উত্তর : লজ্জাবতী লতা।
২১. চৌদ্দ পুরুষ ডাকছে ‘মামা’ আমিও তাই ডাকি, সকলেরই মামা তিনি নাম তার কি জানি?
উত্তর : চাঁদ-সূর্য।
২২. জলের মাঝে জন্ম হলো দুই অক্ষরের প্রাণী, শেষের অক্ষর বাদ দিলে হয় মহারাণী।
উত্তর : মাছ।
২৩. কেমন স্বভাব তোর এ কেমন ধারা, রাত্রে থাকিলে শুয়ে দিনে রইলি খাড়া।
উত্তর : মাদুর।
২৪. যা দিবে তাই খাবে, পানি দিলে মরে যাবে।
উত্তর : চুলা।
২৫. বন থেকে বেরোলো ভূতি। ভূতি বলে তোর পাতে মুতি।
উত্তর : লেবু।
২৬. কোন্ সে শয়তান, নাকে বসে ধরে কান।
উত্তর : চশমা।
২৭. জনম গেল দুখে, বুকে আমার আগুন দিয়ে থাকো অনেক সুখে।
উত্তর : হুঁকো।
২৮. কুল কুল কুলেরি, ভাদ্র মাসে ধুলোরি, কাঁচায়-পাকায় সবাই খায়, নেংটো হয়ে হাটে যায়।
উত্তর : তেঁতুল।
২৯. ইকরের তলে তলে ভিকমতির ছানি, কোন দেশে দেখিয়াছ গাছের আগায় পানি?
উত্তর : নারিকেল।
৩০. সাগর থেকে জন্ম নিয়ে আকাশে করে বাস, মায়ের কোলে ফিরে যেতে জীবন হয় নাস।
উত্তর : মেঘ।
৩১. পানির জন্তু নয় তবুও পানিতেই বাস করে, হাত নেই পা নেই তবু সাঁতার কাটে।
উত্তর : নৌকা।
৩২. বলুনতো এমন কোন সে বস্তু পৃথিবীতে নেই, তোমার আমার মুখের কথায় তবু আছে সে-ই।
উত্তর : ঘোড়ার ডিম।
৩৩. তিন অক্ষরে নাম তার অনেক লোকে খায়, মধ্যের অক্ষর বাদ দিলে জিনিস রাখা যায়।
উত্তর : তামাক।
৩৪. তিন অক্ষরে নাম ব্যঞ্জনে দেয়, তাহার প্রভাবে আহা, স্বাদ ভালো হয়। মাথা কেটে গেলে সে যে গণ্য হবে কাঠি, পেট কেটে ময়লা সে, নয় পরিপাটি।
উত্তর : মশলা।
৩৫. কোথাও কোন জল দেখিনা মাঠের মাঝে জল, চার অক্ষরের নাম তার কী এমন সে ফল?
উত্তর : তরমুজ।
৩৬. সাবান সোডা মাজন দিয়েও ময়লা নাহি যায়, তিন অক্ষরে তারে ছাড়া রান্নায় কষ্ট হয়।
উত্তর : কয়লা।
৩৭. শৈশবে সে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ, বৃদ্ধকালে দাড়ির জটা মাঝখানে সুরঙ্গ।
উত্তর : বাঁশ।
৩৮. চলতে চলতে খসলো শির মাথা, কাটলে চললো ফির।
উত্তর : পেন্সিল।
৩৯. শেষ পাতে জবাব নেই, উৎসবে মনে পড়বেই। শুভ কাজের শুরুতে হবে, তোমার মুখের প্রশংসায় ও পাবে?
উত্তর : মিষ্টি।
৪০. কোন বিলে জল নেই?
উত্তর : টেবিল।
৪১. ঝাপাট জঙ্গল খেকে বের হলো সাপ, ডিম পাড়ে কাপ কাপ।
উত্তর : বেতফুল।
৪২. বৃক্ষ এক হইছে যে মাঠের উপর, ডালে ডালে পুষ্প তার ফুটিছে বিস্তর। যৌবনকালেতে তারে সর্বলোকে খায়, হেমন্তে জন্ম তার, বসন্তে মরে যায়।
উত্তর : সরিষা ফুল।
৪৩. তিন অক্ষরে নাম তার প্রতি ঘরে পাবে, অধ্যক্ষর বাদ দিলে বৎসর বুঝাবে। মধ্য অক্ষর গেলে সবার ক্ষতি করে, শেষের অক্ষর গেলে সবাই অবস্থান করে।
উত্তর : বাসন।
৪৪. জলে জন্ম ঘরে বাস, জলেতে পড়লে সর্বনাশ।
উত্তর : লবণ।
৪৫. বলতে পার কোন সে দেশ সূর্য উঠে না, কোন সে দেশে জলও নাই মানুষ থাকে না।
উত্তর : সন্দেশ।
৪৬. দেহ আছে প্রাণ নেই, সে এক রাজা; সৈন্য সব আছে, নেই তার প্রজা।
উত্তর : দাবার রাজা।
৪৭. হাত নেই পা নেই তবু সে চলে, অনাহরে মরে মানুষ এর অভাব হলে।
উত্তর : টাকা।
৪৮. তিনটি বর্ণে নামটি তার, রসাল এক ফল, ছাড়িয়ে মধ্যবর্ণ হয় যে আরেক ফল।
উত্তর : কমলা।
৪৯. তোমার ঘরে আমার ঘরে সবার ঘরে রয়, প্রথম অক্ষর বাদ দিলে পানির রাস্তা হয়। শেষের অক্ষর বাদ দিলে সবাই জ্ঞাত হয়, পেট কাটলে সবাই অস্থিত হয়।
উত্তর : জানালা।
-------------------------------------
আজকে এই পর্যন্ত। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন। যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
আপনার একটি মন্তব্য একজন ব্লগারকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরণা ও মনোবল যোগাতে সাহায্য করে তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর আশা করি নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না ।